রক্তদানের উপকারিতা
নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে একজন রক্তদাতা জানতে পারে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।
একজন সুস্থ মানুষের শরীরে পাঁচ-ছয় লিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ।
রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।নিয়মিত রক্তদানে হার্ট ও লিভার ভালো থাকে ।
নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
রক্তদান অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে এবং রক্তের কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।
মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি এবং একজন মুমূর্ষু রোগী নতুন জীবন খুঁজে পেতে পারবে আপনার রক্তদানের মাধ্যমে। রক্ত দানের মতো এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।
Leave a Reply