1. ourpositivebangladesh@gmail.com : Ourpositive Bangladesh : Ourpositive Bangladesh
বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণে জমির মালিকগণকে নোর্টিশ, পায়নি ক্ষতিপূরণ? | আমাদের পজিটিভ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
নোটিস :
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন 01521725591 অথবা what's up মেসেজ করুন

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণে জমির মালিকগণকে নোর্টিশ, পায়নি ক্ষতিপূরণ?

  • প্রকাশ কাল : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৩৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, বগুড়া :

বগুড়ার শেরপুরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর বিরুদ্ধে টাওয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোন রকম আইনের তোয়াক্কা না করেই কৃষি জমি জবর দখলের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। বিদ্যুতের এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘বড় পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন’ প্রকল্পের আওতায় সরকার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ১২০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উচরং, আমইন গ্রামে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
০৯ জানুয়ারী ২০২২ বগুড়া জেলা প্রশাসক এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন জমির মালিকেরা ফসলাদী ও বৃক্ষরাজির ক্ষতিপূরণ পেলেও জমির ক্ষতিপূরণ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে ১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন, ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইনের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের মাধ্যমে ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইন রহিত করা হয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ আইনে ১২ (১) অনুচ্ছেদে জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে জমি জবর দখল করা হচ্ছে বলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণ দাবি করেন।
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখের সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক বগুড়া এখনও বগুড়া জেলায় গণ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন না করলেও জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ তাদের ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে জারিকৃত সিরাজগঞ্জ জেলার জন্য গণ বিজ্ঞপ্তি ০২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সংশোধন করে জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ স্বাক্ষর করে সিরাজগঞ্জ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণ ক্ষতিপূরণ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে জমিতে বিদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের জন্য মালামাল মজুত ও পরিবহনের জন্য প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তারা জানান। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে গত এপ্রিল ২০২২ শেরপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ও স্মারক লিপি শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রদান করেছিল। এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসক বগুড়া এর জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন হয়নি। এখনও কোন কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি।
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন এর দক্ষিণ আমইন মৌজায় ধাঁনী জমিতে জমির মালিকদেরকে না জানিয়ে জমির অনেক জায়গা নিয়ে নতুন ৩টি বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের তথা বসানোর কাজ করছে, এখনও জমির কোন মালিককে জেলা প্রশাসক বগুড়া এর কার্যালয় হতে এখনও রাষ্ট্রপতি আদেশক্রমে জারিকৃত এস. আর. ও নং ৩৪-আইন/২০২২ বিদ্যুৎ বিধিমালা, ২০২০ এর সংশোধন (তারিখ : ১০.০২.২০২২) সরকারি প্রজ্ঞাপন ও সরকারি গেজেট কপি (যার গেজেট পাতা নং ৪৩৩৭ হতে ৪৩৪৩ নং পাতা সহ মোট ৭পাতা) অনুযায়ী জেলা প্রশাসক বগুড়া গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কেন? গেজেট প্রজ্ঞাপন এর পাতা নং ৪৩৪২ এর পরিশিষ্ট-ক২ এর ছক “বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণে জমি ব্যবহারের নোটিশ” অনুযায়ী করার নির্দেশ থাকলেও কোন প্রকার নোর্টিশ করেনি কেন? প্রজ্ঞাপন এর পাতা নং ৪৩৪৩ এর পরিশিষ্ট-ক৩ এর ছক “বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণে জমি ব্যবহারের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নোটিশ” ছক অনুযায়ী এখনও জেলা প্রশাসক বগুড়া হতে কোন জমির মালিককে অবগত করতে নোটিশ করেনি কেন? চক্রান্ত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার অন্যান্য মৌজায়ও চলছে!
এবিষয়ে তথা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণ এখনও বিদ্যুতের প্রকল্প অফিস, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, জেলা প্রশাসক বগুড়া হতে  কোন নোটিশ পায়নি ও ক্ষতিপূরণ পায়নি, কিন্তু ফসলের জমিতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে!

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর
Copyright (c) 2022 ourpositivebangladesh.com
Design & Development By MD Arafat Rahman