নিউজ ডেস্ক :
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে তিস্তাপাড়ে অষ্টম বারের মতো বন্যার পদধ্বনি দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তা-ধরলা অববাহিকার শতাধিক চরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা (স্বাভাবিক ৫২.৬০) বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়।
জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা-ধরলার চরের নিম্নাঞ্চলের পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের কয়েক হাজার একর পাকা ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এলাকায় দফায় দফায় বন্যা হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, তিস্তার নদীর পানিতে ধানক্ষেত তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা ধান কিভাবে কাটব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে চর এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a Reply