পাহাড়ে চাষ শিখতে ৬০লাখ টাকা খরচে বিদেশে প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা। পাহাড়ি মৃত্তিকার উপরিস্তরে কর্দম কণার পরিমাণ তুলনামূলক কম। পানি ধারণক্ষমতাও অনেক কম। বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির সময় ব্যাপক মাত্রায় ভূমিক্ষয় ও ভূমিধস হয়। ফলে কমে যায় মৃত্তিকার জৈব পদার্থ ও পুষ্টি উপাদান। পাশাপাশি বেড়ে যায় পাহাড়ের ঢালুর মাত্রা। অর্থাৎ, সামান্য ঢালু পাহাড় মাঝারি ঢালু পাহাড়ে, মাঝারি ঢালু পাহাড় অধিক ঢালু পাহাড়ে পরিণত হয়। তাই গবেষণার মাধ্যমে পাহাড়ি মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন বলে মনে করে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। পাহাড়ি এলাকা চাষের উপযোগী করা এবং আধুনিক মৃত্তিকা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা শিখতে আবদার করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকার বৈদেশিক প্রশিক্ষণের।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদে ফসলভেদে পাহাড়ি এলাকায় বছরে প্রতি হেক্টরে ৪০ থেকে ৮০ টন মাটি অবক্ষয় হয়। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষ করলে বছরে প্রতি হেক্টরে অবক্ষয় হয় মাত্র ৮ থেকে ১০ টন মাটি। তাই মৃত্তিকা অবক্ষয় কমানোর জন্য আধুনিক ভূমি ও মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ট্রায়াল প্রদর্শনী স্থাপনে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পটি জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকল্পের যাচাই কমিটির সভা হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ে। সভায় প্রকল্পের বৈদেশিক প্রশিক্ষণসহ নানা খাতের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে। পরিকল্পনা কমিশন কারেকশন করার জন্য দিয়েছে, সেগুলো কারেকশন করবো। প্রকল্পের অনেক ব্যয় যাচাই-বাছাই করা হবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় একটি জিপ গাড়ি কেনা বাবদ ৯০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। অথচ পরিপত্র অনুযায়ী পরিচালকের (গ্রেড-৪ এর কর্মকর্তা) জন্য সর্বোচ্চ ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গাড়ি কেনার বিধান রয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী এটা হওয়ার সুযোগ নেই।জিপ কেনা প্রসঙ্গে মো. কামারুজ্জামান বলেন,প্রকল্পের পেপার খসড়া আকারে আছে এখনো, চূড়ান্ত হয়নি।প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।প্রকল্পের অনেক ব্যয় যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকার ভিতরে জিপ কেনা হবে।
Leave a Reply