নিউজ ডেস্ক :
আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার কিগালিতে চলমান আইপিইউ সম্মলনে অংশ নিয়ে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ ৭৩ জন নারী সদস্য আইন প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জাতীয় সংসদে অধিক হারে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়া বৈষম্য দূরীকরণের অনন্য দৃষ্টান্ত। দেশে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে, জাতীয় জীবনে নারীদের জন্য সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকারের বিধান করা হয়েছে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, ১৪৫তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন-আইপিইউ’ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ‘দৃঢ় ও শান্তিময় পৃথিবী গঠনের চালিকাশক্তি জেন্ডার-ভারসাম্যপূর্ণ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল-সংসদ’ শীর্ষক সাধারণ আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকারের নেতৃত্বে এ সম্মেলনের সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বাবু এমপি সাহাদারা মান্নান এমপি ও শামসুন নাহার এমপি।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু আরো বলেন, বাংলাদেশ আইন বিভাগ ছাড়াও নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সকল ক্ষেত্রে নারীদের পুরুষের সাথে রেখে অথবা নারী-নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা।
মো. শামসুল হক টুকু আরো বলেন, নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে জাতীয় সংসদে যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিবাহ রোধ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিএনএ আইন-এর মত নারী-বান্ধব আইন পাশ করা হয়েছে। আইনের পাশাপাশি নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়নে ২০টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
Leave a Reply