নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী :
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা বাজারে ৩ রাস্তার মোড়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে নাম করণ দিয়ে চত্বর ও ম্যুরাল তৈরির কাজ শুরু করেছেন মুন্ডুমালা পৌর কর্তৃপক্ষ । এতে মুক্তিযোদ্ধা সহ খুশি জনসাধারণও।
বঙ্গবন্ধু নামে এমন ম্যুরাল হওয়াই সবাই খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন। তিনি নানান কৌশলে ম্যুরাল তৈরিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন পৌর মেয়র সাইদুর রহমান।
অধ্যক্ষ তার মাদরাসার জায়গার উপরে ম্যুরালের হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করতে সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে ম্যুরাল তৈরি কাজ বন্ধ হওয়া উপক্রম দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু নামে চত্বর করতে বাধা দেওয়াই অধ্যক্ষ উপরে চটেছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীরা।
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জামাত পন্থী মাদরাসার অধ্যক্ষ বলেই বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল করতে বাধা দিচ্ছে। এ অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিশ্বাস করেনা, তার সে পদে থাকার যোগ্যতা রাখেনা। আমরা তার অপসরণ চাই। নইতো গণ আনন্দল গড়ে তোলা হবে।
স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা বলেন,অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে জামাতে বেশ ভুমিকায় ছিল। জামাতের বড় বড় নেতারা তার মাদরাসা গোপন মিটিং সহ নানা অপকর্ম করেছেন মাদরাসায়। তিনি আজ বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে বাধা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা চেনাকে আঘাত করেছে। আমরা তার বিচার চাই।
মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করতে বাধা দিয়েছি অভিযোগটি সত্য নয়। ম্যুরাল করতে গিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ আমার মাদরাসার পাকা মার্কেট ভেঙ্গে দিয়েছে তাই জেলা প্রশাসন কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু চত্বরের স্থানটি জেলা পরিষদের জায়গা। তাদের প্রকৌশলী ও সার্ভিয়ার দিয়ে একাধিবার মাপ করা হয়েছে। তাদের অনুমতি ক্রমে সেখানে কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্ত কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ কাজের শুরু থেকে মিথ্যা অভিযোগ এনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। এবং অযাথা হয়রানী করেই চলছে।
মেয়র আরও বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমার প্রথম প্রতিশ্রুতি মুক্তিযোদ্ধা সহ স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধ ম্যুরাল করার।
অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন মাদরাসাটি জামাতের আখড়া তৈরি করেছেন । সরকারে উচ্চ পর্যায় থেকে অধ্যক্ষর বিষয়টি তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে আঘাত করেছেন।
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ চন্দ দেবনাথ বলেন, মাদরাসা অধ্যক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যুরালের স্থানটি সরকারী সার্ভিয়ার দিয়ে মাপ করতে পাঠানো হয়েছিল। এতে মাদরাসার কোন জায়গা পাওয়া যাইনি।
Leave a Reply